সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৩

বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এবং উহার মধ্যে নাস্তিক মামাদের ভ্রান্তি-বিলাস।

আপনাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে যে বিজ্ঞান কি? আপনি কি বলবেন?

আপনি সম্ভবত বলবেন:

বিজ্ঞান হচ্ছে মনুষ্য প্রজাতির জ্ঞান অর্জনের একটি চলমান প্রকৃয়া যা যৌক্তিক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলে।

"বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা" বলতে কি বুঝায়?

মনুষ্য প্রজাতি জ্ঞান অর্জনের জন্য কিছু ইন্দ্রিয় এবং মগজের উপর নির্ভর করে। মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হলে জ্ঞান অর্জনের প্রকৃয়াও সীমাবদ্ধ হবে। অতএব বিজ্ঞান অবশ্যই সীমাবদ্ধ হবে।

সুতরাং প্রথমে আমরা দেখি মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতা কিভাবে সীমাবদ্ধ: জ্ঞান অর্জন করা হয় তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লষনের মাধ্যমে। মনুষ্য প্রজাতি তথ্য সংগ্রহ করে কতিপয় ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। চোখ, কান, নাক, জিহবা, চামড়া। প্রতিটা ইন্দ্রিয় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জিনিস নির্নয় করতে পারে। চোখ দিয়ে আলো, কান দিয়ে শব্দ, নাক দিয়ে গন্ধ ইত্যাদি। চোখ দিয়ে মানুষ সব ধরনের আলো দেখতে পায় না, নির্দিষ্ট কিছু তরংগ দৈর্ঘের ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন অনুভব করতে পারে। এর বাইরের তরংগ দৈর্ঘের আলো সাধারনত যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়ে দেখা হয়, উদাহরন: অতি-বেগুনি, অবলাল ও এক্স-রে রশ্মি।

ধরেন মনুষ্য প্রজাতির যদি চোখ না থাকত। তাহলে কি হত? মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠত সম্পুর্ণ ভিন্ন ভাবে। সমাজ, অর্থনীতি, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সব কিছু হত অনেক অন্যরকম।

আবার ধরেন যদি শব্দ শোনার জন্য কান না থাকত, সেই ক্ষেত্রে এই সবকিছু হত আরেক রকম।

মানুষের সভ্যতা ও বিজ্ঞান গড়ে উঠেছে কয়েকটি "অনুভব করা যায়" এমন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। এই মহাবিশ্বে "অনুভব করা যায় না" এমন অনেক জিনিশ থাকতে পারে। এমন অনেক কিছু থাকতে পারে যা নির্নয় করার মত অংগ মানুষের শরীরে নাই।

ধরেন এমন একটা ইন্দ্রিয় "ক" যা দিয়ে মানুষ "খ" নামের এক ধরনের কিছু অনুভব করতে পারে। এখন, এই ধরনের কিছু যদি থাকত, তাইলে মানুষের যেই সভ্যতা আজকে আমরা দেখতেছি সেইটার চেহারাই অন্য রকম হত।

এখন যদি সত্যি সত্যি "খ", "গ", "ঘ" ........এই রকম অসংখ্যা কিছু মহাবিশ্বে থাকে এবং তা নির্নয় করার মত ইন্দ্রিয় মানুষের না থাকে, তাইলে বলতে হবে, হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা মনুষ্য অর্জিত বিদ্যা (তথা বিজ্ঞান) সবসময় অসম্পুর্ন ছিল এবং থাকবে।

মানুষের পক্ষে কখনই এই কথা দাবি করা সম্ভব না যে মানুষ যা যা অনুভব এবং কল্পনা করতে পারে এর বাইরে কিছু নাই।

(এখানে অনুভব করা বলতে শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় বরং যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়েও যা যা ইন্দ্রিয়গাহ্য এবং কল্পনার ক্ষেত্রে গনিত এবং যুক্তি ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে যা যা কল্পনা করা হয় তাও বুঝানো হয়েছে)

কল্পনা করার কথা আসলেই মানুষের মগজের কথা এসে যায়। মানুষের মগজের একটা সীমাবদ্ধতা হল, মানুষ অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না। আবার মানুষের চিন্তা "বহুসংখ্যক বিষয়" (যেমন: পরিবেশ, পরিস্থিতি, পারসেপশন, নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি) দ্বারা প্রভাবিত এবং ত্রুটিপরায়ন।

আশাকরি ইন্দ্রিয় এবং মগজের সীমাবদ্ধতা বলতে কি বলতে চাচ্ছি বুঝতে পারছেন। এই সীমাবদ্ধতার কারনে মানুষ যত বিদ্যা অর্জন করে তা অসম্পুর্ন থাকাই স্বাভাবিক। এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানের একটা সীমারেখা অবশ্যই থাকবে যা মানুষ কখনই অতিক্রম করতে পারবে না।

এই সীমারেখাটাকে আমরা বলতে পারি "মনুষ্য জ্ঞানের সীমানা", যার বাইরের জ্ঞান মানুষ কখনই অর্জন করতে পারবে না। এমনকি এই সীমানার ভিতরে অনেক বিষয় এমন থাকতে পারে যা পুরোপুরি জানা সম্ভব হবে না।

নাস্তিক্যবাদিরা এই সীমাদ্ধতা উপেক্ষা করেই নাস্তিক হয়। সসীম বিজ্ঞানের অসীম গৌরবগাঁথার সত্য-মিথ্যা মিশেল দেওয়া নেশা-ধরানো গীত গাইতে গাইতে এরা একধরনের যুক্তিনাশক ধুম্রজাল তৈরী করে। বিজ্ঞান নামক কুয়ার মধ্যে নর্তন কুর্দন করতে করতে এরা ভুলে যায় যে এই কুয়ার বাইরে বিশাল একটা জগত আছে যা তাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা সম্ভব না।

আপনাকে যদি কখনো কেউ প্রশ্ন করে যে নাস্তিক্যবাদ (Atheism) কি? আপনি তখন কি বলবেন?

আপনি বলবেন:

নাস্তিক্যবাদ হচ্ছে "বিজ্ঞানের সাথে কৌশলি মিথ্যা মিশিয়ে" জনসাধারনকে বোকা বানান পূর্বক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী করে তোলার অপচেষ্টা জনিত একটি সুচতুর মতবাদ মাত্র।

ভাল থাকেন। নাস্তিক্যবাদি কুপের বাইরের জগত সম্পর্কে অসচেতন হইয়েন না।

ইবলিশ শয়তান এবং নাস্তিকতা - ২য় পর্ব ( ইহা নাস্তিক মামাদের জন্য গাত্রদাহ মূলক পোষ্ট নহে)

জ্বিন জাতিরে যখন ধ্বংস করার হুকুম দেওয়া হয়, তখন ফেরেশতাগন দয়া পরবশ হইয়া বালক ইবলিশকে হত্যা না করিয়া সংগে করিয়া লইয়া যান। সৃষ্টিকর্তার অনুমতিক্রমে উহাকে প্রথম আসমানে রাখিয়া লালন পালন করার কাজে আন্জাম দেন।

ইবলিশ শয়তানের প্রখর মেধার কথা বিভিন্ন কিতাবাদিতে জানা যায়। সে অতি অল্প সময়ে ইবাদত বন্দেগিতে চরম উৎকর্ষ সাধন করিয়া বসে। সপ্ত আকাশে নাকি এমন কোন যায়গা নাই যেখানে সে সিজদা করে নাই। প্রথম আসমানে ইবাদতে পূর্নতা অর্জনের পরে ২য় আসমান। ২য় আসমানে ইবাদতে পূর্নতা অর্জনের পরে ৩য় আসমান -- এইভাবে সে সপ্তম আসমান পর্যন্ত পৌছাইয়া যায়। অতঃপর এমন একটা সময় আসে যখন তাহার উপাধি হয় "মুআল্লেমূল মালাইকাহ" অর্থাৎ "ফেরেশতাদের ওস্তাদ", সপ্তম আসমানে সে নাকি ফেরেশতাদেরকে ওয়াজ নসিহত করিত।

৬ লক্ষ বৎসর ধরিয়া ইবাদত বন্দেগি করিবার পরও, ফেরেশতাদের ওস্তাদ খেতাব পাওয়ার পরও সে কিভাবে অভিশপ্ত শয়তান হইয়া গেল - তাহা ভাবিলে আশ্চর্য হইতে হয়।

ইবলিশ শয়তানের অবস্থানটা খালি চিন্তা করেন। কি পরিমান সন্মান এবং প্রতিপত্তি সে পাইয়াছিল। তাহার পরও সে কেন সন্মানের উচ্চ দরওয়াজা হইতে বিতাড়িত হইল?

বিজ্ঞ-ওলামাগন বলেন, ইবলিশ শয়তানের পতনের কারন হইল তাহার "নফস"। এক মহা শক্তিশালী নিম্নবুদ্ধির সৃষ্টি হইল নফস। আপনার আমার প্রত্যেকের ভিতরে ইহা আছে। যত রকমের খারাবি আছে, সবকিছুর উৎপত্তি নফস হইতে। ইবলিশ শয়তানের জন্য কোন শয়তান ছিল না, যে তাহাকে কুমন্ত্রনা দিবে, কিন্তু তাহার নফস তাহার সাথেই ছিল। ইবলিশ শয়তানের নফস যে শুধু তাহাকেই জাহান্নামে লইয়া যাইবে, তাহাই নহে, বরং এই নফসের কারনে ইবলিশের মধ্যে আদম (আঃ) হইতে নিয়া সমস্ত মানব জাতির প্রতি এই পরিমান ঘৃনা সৃষ্টি হইয়াছে, যে আজও সে আদা পানি খাইয়া মানুষকে বিপথগামি করার জন্য লাগিয়া রহিয়াছে।

একবার নাকি ইবলিশ শয়তানের মধ্যে অনুশোচনা সৃষ্টি হইয়াছিল। সে তওবা করিবার জন্য হজরত মুসা (আঃ) এর নিকট গমন করিয়াছিল। মুসা (আঃ) ইহা আল্লাহতায়াকে জানাইলে, উনাকে বলা হইল, শয়তান যদি আদম (আঃ) এর কবরে সিজদা করে, তাহা হইলে তাহার তওবা কবুল করা হইবে। আদম (আঃ) এর কবরে সিজদা করিতে হইবে শুনিয়া শয়তানের পুরাতন হিংসার আগুন জ্বলিয়া উঠিল। সে এই প্রস্তাব ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করিয়া যেই শয়তান সেই শয়তানই রহিয়া গেল।

কমবখত নফসের কারনে এত বড় সন্মানিত ইবাদত গুজার হওয়ার পরেও ইবলিশ শয়তান ধরা খাইয়া গেল। আর আপনে আমি তো কোন ছার। নফস হইতেছে এমন এক শক্তিশালি শত্রু যার হাত হইতে নিস্তার পাওয়া আমার আপনার মত সাধারন মানুষের পক্ষে অসম্ভব একটা ব্যাপার। অবশ্য যাহাকে আল্লাহতায়ালা রাস্তা দেখাইবেন তাহার জন্য ভিন্ন কথা। ( এইজন্য আল্লাহতায়ার নিকট সাহায্য চাওয়া জরুরি)

নাস্তিকতার মূল কারনও নফস। নফসের চুড়ান্ত স্বাধীনতা ঘোষনার অপর নাম হইল নাস্তিকতা। একজন মানুষ তখনই নাস্তিক হয়, যখন তাহার নফস খুব শক্তিশালি হইয়া যায়। আপন খাহেশ মিটাইবার জন্য যা যা করা দরকার তাহা যাতে বিনা বাধায়, বিবেকের দংশনের পীড়া অনুভব না করিয়াই করা যায় তার জন্য নাস্তিকতার প্রেরনা তৈরী হয়। এই প্রেরনাই মানুষকে নাস্তিক করিয়া তোলে।

ইবলিশ শয়তান এবং নাস্তিকতা (নাস্তিক মামাদের জন্য একটি গাত্রদাহমূলক লেখা)

ইবলিশ শয়তান নাকি ছোট বেলায় ব্যাপক মেধাবী ছিল। অত্যাধিক মেধাবী হওয়ার কারনে খুব অল্প সময়ে অধিক জ্ঞানী হইয়া গিয়াছিল। ইবলিশের শিক্ষক তাহার পিতার নিকট একবার বলিয়াছিল আপনার সন্তান অত্যাধিক মেধাবী হইলেও অত্যাধিক অহংকারি। বড় হইয়া সে কিছু একটা করিয়া দেখাইবে।

এর পরের কাহিনী আমরা সবাই কম বেশি জানি। জ্বিন জাতির পাপের কারনে যখন তাহাদিগকে সমূলে ধ্বংস করিয়া দেওয়া হয়, তখন ফেরেশতারা বালক ইবলিশকে দয়াবশত হত্যা না করিয়া সৃষ্টিকর্তার অনুমতিক্রমে সঙ্গে করিয়া আসমানে লইয়া যান। তথায় ইবলিশ ইবাদত বন্দেগি এবং জ্ঞানে পারদর্শিতা দেখাইয়া অল্পদিনে বিখ্যাত হইয়া যায়। কথি্ত আছে, সপ্ত আসমানের এমন কোন যায়গা নাই যেইখানে ইবলিশ সেজদা করে নাই। এইভাবে এবাদত করিতে করিতে সে প্রথম আসমান হইতে ২য় আসমান, তথা হইতে ৩য় আসমান এইভাবে সপ্ত আসমান পর্যন্ত উপরে উঠিয়া যাওয়ার অনুমতি পায়।

এবাদত বন্দেগিতে এবং জ্ঞানে পারদর্শিতার কারনে একসময় সে ফেরেশতাগনের ওস্তাদ হইয়া বসে। এমতাবস্থায় একদিন ইবলিশ এবং তাহার সঙ্গের ফেরেশতাগন জানিতে পারেন যে সৃষ্টিকর্তার একজন এবাদতগুজার বান্দা তাঁহার হুকুমের বিরোধিতা করিবার কারনে অভিশপ্ত হইয়া যাইবে এবং আসমান হইতে জমিনে নিক্ষিপ্ত হইবে। ইহাতে তাহাদের মনে ভীতির উদ্রেক হয় এবং ফেরেশতাগন ইবলিশের নিকট আবেদন করেন ইবলিশ যেন সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া করিয়া তাহাদের অভিশপ্ত হওয়া হইতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

ইবলিশ তখন ফেরেশতাদের কথামত শুধু ফেরেশতাদের জন্য দোয়া করিয়া তাঁহাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কিন্তু নিজের জন্য দোয়া করিতে ভুলিয়া যায়।

বিজ্ঞ আলেমগনের মতে ইবলিশের অভিশপ্ত হইয়া যাওয়ার কারন হইল সে নাকি উচ্চ সন্মান এবং মর্যাদা লাভের উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন এবং এবাদত বন্দেগি করিত। আল্লাহ তায়ালার প্রতি তাহার সত্যিকারের মহব্বত ছিল না। শুধু তাহাই নহে, ইবলিশের মনের মধ্যে নাকি এই কু-চিন্তাও ভর করিয়াছিল যে বিশ্বজগতের প্রতিপালনের কাজ হইতে যদি আল্লাহতায়ালা অবসর হইয়া যান, তখন ইবলিশ তাঁহার স্থান দখল করিবে।

এই সমস্ত বদ নিয়তের কারনে যাহা হইবার তাহাই হইল, আল্লাহতায়ালা যখন আদম (আঃ) কে তৈয়ার করিলেন এবং সৃষ্টির সেরা মর্যাদা দিলেন তখন ইবলিশ হিংসায় জ্বলিয়া পুড়িয়া ছাই হইয়া গেল। হিংসা নামক ব্যাধির একটি বৈশিষ্ট্য হইল, ইহা হিংসুককে অন্ধ করিয়া দেয়, তাহার সত্য-মিথ্যা, হক-নাহক পার্থক্য করিবার ক্ষমতা বিনষ্ট করিয়া দেয়। ইবলিশ শুধু আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অমান্যই করিলনা, বরং আরো একধাপ আগাইয়া গিয়া নির্দেশের বিরোধীতা করিল, এবং অহংকারের সাথে দাবি করিল সে অগ্নিদ্বারা সৃষ্ট হওয়ায় মৃত্তিকাসৃষ্ট আদম অপেক্ষা তাহার শ্রেষ্ঠত্ব অধিক।

অতঃপর ইবলিশ শয়তান অভিশপ্ত হইয়া গেল।

নাস্তিকতার উদ্ভব হয় অহংকার এবং দম্ভ হইতে। নাস্তিকদের দুইটা বৈশিষ্ট্য থাকে:
১। ইহারা সত্যের বিরোধিতা করে
২। ইহারা মানুষকে অবজ্ঞা করে

ইবলিশ শয়তানেরও দুইটা বৈশিষ্ট্য ছিল
১। সৃষ্টিকর্তার সত্য হুকুমের বিরোধিতা করিয়াছিল
২। আদম (আঃ) কে অবজ্ঞা করিয়াছিল

উপরের আলোচনা হইতে আমরা এই স্বিদ্ধান্তে আসিতে পারি যে "নাস্তিকতা এক প্রকারের শয়তানি"।

(গাত্রদাহে আক্রান্ত হইয়া নাস্তিক মামারা যাতে গালাগালি না করিতে পারেন, সেই জন্য কমেন্ট মডারেশন চালু করা হইল)

নাস্তিক মামাদের জন্য কিছু গাত্রদাহমূলক কৌতুক।

প্রশ্ন: একজন নাস্তিক মামা কেন রাস্তা পার হন?

উত্তর: কারন রাস্তার পাশে যে একটা গলি আছে, সেইটা ভালমত না দেখে তিনি বিশ্বাস করতে চান না।

প্রশ্ন: বাথরুমের একটি লাইট লাগাইতে কতজন নাস্তিক মামার প্রয়োজন?

উত্তর: দুইজন, একজন লাইট লাগানোর জন্য, আরেকজন পুরো ঘটনাটা ভিডিও করার জন্য, যাতে ধর্মান্ধ আস্তিকরা পরে অস্বিকার করতে না পারে।

প্রশ্ন: নাস্তিক মামারা আস্তিকদেরকে নিয়া ফান করেন কেন?

উত্তর: কারন উনারা "বিশ্বাস করেন" যে আস্তিকদের থেকে উনারা বেশি বুদ্ধিমান।

নাস্তিক মামাদের জন্য ছোট্ট একটা কৌতুক

একদা বিশিষ্ট নাস্তৈক আর্নেষ্ট হোমিঙে মদের দোকানে গিয়া উচ্চস্বরে ঘোষনা করিলেন, "চিন্তাশীল মানুষ মাত্রই নাস্তিক"

এই কথা বলার সাথে সাথে ক্ষিপ্ত পাবলিক উনারে ধোলাই দিতে আসিল, উনার বন্ধু পাবলিকের হাত হইতে উনারে বাঁচানোর চেষ্টা করিতে করিতে উনার পক্ষ হইতে ক্ষমা চাইলেন এবং বলিলেন, "ভাই বেকুবটারে এইবারের মতন মাফ কইরা দেন, হালায় আসলে চিন্তা না কইরাই কথাডা কইয়া ফালাইছে।"

একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (২য় পর্ব)

রুপবতী বালিকার নিকট হাতে নাতে ধরা খাওয়ার পরে নাস্তিক মামার আকাশ ভ্রমনের আনন্দ মাটি হইয়া গেল। ট্রানজিট এয়ারপোর্টে তিনি তাহার বন্ধু *বিবর্তনবাদী* মামার নিকট মেইল করিয়া হাগুর ধরন আলাদা হইবার কারন জানিতে চাহিলেন।

*বিবর্তনবাদী* মামা অনেক চিন্তা ভাবনা করিয়া উত্তর দিলেন "বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"

নাস্তিক মামা ভাবিলেন এইবার বালিকাকে দেখিয়া লইতে হইবে। তিনি এয়ারপোর্টের ওয়েটিং লাউন্জে বালিকাকে খুঁজিয়া বাহির করিলেন, অতঃপর বালিকার নিকটে গিয়া উচ্চ্স্বরে বলিলেন "বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"

ওয়েটিং লাউন্জের যাত্রিরা বিরক্ত হইয়া নাস্তিক মামার দিকে তাকাইল, কিন্তু বালিকা নাস্তিক মামার কথা শুনিতে পাইল না।

ইহাতে নাস্তিক মামা পুনরায় উচ্চ্স্বরে বলিলেন "বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"

আসলে বালিকার কানে ইয়ারফোন লাগানো ছিল, ফলে নাস্তিক মামার এই কথাটাও বালিকা শুনিতে পাইল না।

নাস্তিক মামা, অস্থির এবং অধৈর্য হইয়া উচ্চস্বরে ক্রমাগত বলিতে লাগিলেন:

"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ.........

নাস্তিক মামা আর বলিতে পারিলেন না, একজন বৃদ্ধা মহিলা ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিয়া আসিয়া ঠাশ করিয়া মামার গালে চড় লাগাইয়া দিলেন এবং আর একবার চেচামেচি করিলে থাপড়াইয়া নাস্তিক মামার পাতলা হাগু ছুটাইয়া দিবেন বলিয়া হুমকি দিলেন।

বৃদ্ধা মহিলার চড়ের আওয়াজে বালিকার চৈতন্য হইল। পাশের একজনকে প্রশ্ন করিয়া সে ঘটনাটি জানিয়া লইল। অতঃপর নাস্তিক মামার দিকে তাকাইয়া বলিল, "একজন বৃদ্ধা মহিলার চড় খেয়েই যদি আপনার শক্ত হাগু পাতলা হয়ে যায়, তাইলে হাগুর ধরন পাল্টানোর জন্য আবার বিবর্তনের দরকার কি?"

একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (১ম পর্ব)

জনৈক জ্ঞানী নাস্তিক মামা একদা ভ্রমন করিবার জন্য বিমানে উঠিলেন। তিনি লক্ষ করিয়া দেখিতে পাইলেন তাঁহার পাশের সিটে বসিয়া এক রুপবতী বালিকা মনোযোগ দিয়া বই পড়িতেছে। নাস্তিক মামা যার পর নাই আনন্দিত হইলেন। এই বালিকার সহিত গল্প করিয়া ভ্রমনের সময়টুকু কতটা আনন্দদায়ক হইবে তাহা ভাবিয়া তিনি পুলকিত হইলেন।

নাস্তিক মামা গলা খাকরি দিয়া বালিকাটিকে বলিলেন, "তুমি কি আকাশ ভ্রমনের সময়টুকু গল্প করিয়া কাটাইতে চাও? ইহাতে সময় দ্রুত কাটিয়া যাইবে।"

বালিকা সন্দেহের চোখে তাকাইয়া উত্তর দিল, "আপনি কি বিষয়ে গল্প করিতে চান?"

নাস্তিক মামা একটু ভড়কাইয়া গিয়া বলিলেন, " না মানে , ...... এ্য্য....এইধর........ এ্য্য.......সৃষ্টিকর্তা বলিয়া কাহারো অস্তিত্ব নাই, বেহেশত নাই, দোজখ নাই ....... মৃত্যুর পরে কোন জীবন নাই -- এইসব বিষয়ে আরকি।" (কথাটি বলিয়া নাস্তিক মামা কাষ্ঠ হাঁসি হাসিলেন)

বালিকা বলিল, "ওকে ঠিক আছে, আপনার গল্পের বিষয়বস্তু খুবই ইন্টারেস্টিং, কিন্তু তার আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।"

"কি প্রশ্ন?", নাস্তিক মামা সাগ্রহে জানিতে চাহিলেন।

"ছাগল, গরু এবং ঘোড়া - এরা সবাই ঘাস খায় কিন্তু ছাগলের হাগু ছোট ছোট গুটি টাইপ, গরুর হাগু একথাল কাদার মত আবার ঘোড়ার হাগু বেশ শক্ত এবং লম্বাটে সাইজের, একই খাবার খাওয়ার পরেও এদের হাগুর ধরন আলাদা কেন? এই বিষয়ে আপনার কি ধারনা?"

নাস্তিক মামা বালিকার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন শুনিয়া বেশ খানিকটা সারপ্রাইজড হইয়া উত্তর করিলেন,"....হুম.. আমার এই বিষয়ে কোন ধারনা নাই"

বালিকা বলিল, "এই সাধারন জিনিসটা না জানার পরও আপনি কি সত্যি সত্যি নিজেকে 'সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিষয়ক আলোচনার জন্য' যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করেন?"

(ইহা বলিয়া বালিকা পুনরায় বই পড়িতে আরম্ভ করিল)